DA Case Update Today: DA মামলায় বিশাল বড় শুনানি! কি হলো আজকের রায়? – জানুন বিস্তারিত

DA মামলা নিয়ে বিশাল বড় একটি আপডেট উঠে এলো। আজ অর্থাৎ ৭ই মে ২০২৫, মামলাটি শোনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টের ৫ নম্বর কোর্টরুমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা (DA) মামলার শুনানি ছিল। নতুন এই মামলাটি ছিল দিনের দ্বিতীয় সেশনে হওয়ার কথা ছিল, এবং শুনানি হওয়ার কথা ছিল বিচারপতি বিক্রম নাথ, বিচারপতি সঞ্জয় ক্যারল এবং বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে।

 

আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল আজকের শুনানি

আজকের শুনানিটি ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছিল যে এই মামলার শুনানি যেন আর পেছানো না হয় এবং এটি “Top of the List” হিসাবে গণ্য করা হয়। রাজ্য সরকার আদালত কে অনুরোধ করেছিল শুনানিটি পিছিয়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু আদালত সেটি মানেনি।

 

কী ঘটল আজকের শুনানিতে?

আজ শুনানির শুরুতেই রাজ্য সরকারের প্রধান আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভি জানান, অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারবেন না। এজন্য তিনি অনুরোধ জানান শুনানির নতুন দিন নির্ধারণের জন্য। এর ফলে এই মামলার শুনানিটি আবার পিছিয়ে গেল।

 

কর্মচারী সংগঠনের প্রতিক্রিয়া

রাজ্য সরকারি কর্মীদের আইনজীবী জানান, এই মামলাটি ইতিপূর্বে ১১ বার তালিকাভুক্ত হয়েছে, কিন্তু এখনও বিস্তারিত শুনানি হয়নি। তাই তিনি আর দেরি না করে দ্রুত শুনানি চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানান।

 

নতুন শুনানির দিন ঘোষণা

সুপ্রিম কোর্ট, উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর এবং আইনজীবী অভিষেক মনুসিংভির সম্মতিতে, মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে: ১৪ই মে ২০২৫, দুপুর ২:০০ টা

 

আজকের শুনানিতে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল:

  • মূল ডিএ মামলার ও কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের আপিল গ্রহণযোগ্য কি না।
  • কর্মচারী সংগঠন ‘ইউনিটি ফোরাম’-এর নতুন নথিপত্র।
  • সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার আবেদন।

ডিএ মামলার পটভূমি

১. কেন্দ্রীয় হারে ডিএর দাবি

পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ চেয়ে আন্দোলন করে আসছেন। বর্তমানে রাজ্যের কর্মীরা পাচ্ছেন ১৮% ডিএ, যেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা পেয়ে যাচ্ছেন ৫৫% DA।

 

২. কলকাতা হাইকোর্টের রায়

২০২২ সালের মে মাসে হাইকোর্ট রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় হারে ডিএ ও বকেয়া পরিশোধ করতে। কিন্তু রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের সেই রায় মানেনি।

 

৩. সুপ্রিম কোর্টে আপিল

কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে রাজ্য সরকার চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় এবং তখন থেকেই বিভিন্ন কারণে মামলার তারিখ পেছাতে থাকে।